ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যাত্রীদের চাপে শিমুলিয়া থেকে ছেড়েছে ফেরি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • ১১৯ বার

করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী ঠেকাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দিনে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও ঘরমুখী মানুষের ঢল বন্ধ হয়নি। আজ শনিবার ভোর থেকে ঘরমুখী মানুষ শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হতে শুরু করেন। অবশেষে যাত্রীদের রোষানলে পড়ে ফেরি চালাতে বাধ্য হয় ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৩ ও ২ নম্বর টার্মিনালে শতাধিক মানুষকে নদী পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। প্রবেশপথগুলোতে গাড়ি আটকে দেওয়ায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেই তারা শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন।

যাত্রীদের চাপে শিমুলিয়া থেকে ছেড়েছে ফেরি

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাবাজার থেকে ফেরি কুঞ্জলতা অ্যাম্বুলেন্স বহন করে শিমুলিয়াঘাটে আসে। অ্যাম্বুলেন্স নামার সময় শত শত যাত্রী ফেরিতে উঠে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরিটি বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।যাত্রীদের চাপে শিমুলিয়া থেকে ছেড়েছে ফেরি

তবে ঈদকে সামনে রেখে ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ এবং শত শত যানবাহন। সব জায়গায় গাদাগাদি। নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। এমনকি অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। তবে যাত্রীরা কেউ কেউ বলেছেন, তারা জানেন না যে ফেরি বন্ধ।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্দেশনা মেনে মাঝ পদ্মায় কয়েকটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে। ঘাট এলাকায় শত শত মানুষ পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের পার না করে কীভাবে অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের মতো জরুরি সেবা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যাত্রীদের চাপে শিমুলিয়া থেকে ছেড়েছে ফেরি

আপডেট টাইম : ০১:১৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী ঠেকাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দিনে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও ঘরমুখী মানুষের ঢল বন্ধ হয়নি। আজ শনিবার ভোর থেকে ঘরমুখী মানুষ শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হতে শুরু করেন। অবশেষে যাত্রীদের রোষানলে পড়ে ফেরি চালাতে বাধ্য হয় ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৩ ও ২ নম্বর টার্মিনালে শতাধিক মানুষকে নদী পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। প্রবেশপথগুলোতে গাড়ি আটকে দেওয়ায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেই তারা শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন।

যাত্রীদের চাপে শিমুলিয়া থেকে ছেড়েছে ফেরি

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাবাজার থেকে ফেরি কুঞ্জলতা অ্যাম্বুলেন্স বহন করে শিমুলিয়াঘাটে আসে। অ্যাম্বুলেন্স নামার সময় শত শত যাত্রী ফেরিতে উঠে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরিটি বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।যাত্রীদের চাপে শিমুলিয়া থেকে ছেড়েছে ফেরি

তবে ঈদকে সামনে রেখে ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ এবং শত শত যানবাহন। সব জায়গায় গাদাগাদি। নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। এমনকি অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। তবে যাত্রীরা কেউ কেউ বলেছেন, তারা জানেন না যে ফেরি বন্ধ।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্দেশনা মেনে মাঝ পদ্মায় কয়েকটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে। ঘাট এলাকায় শত শত মানুষ পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের পার না করে কীভাবে অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের মতো জরুরি সেবা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি।’